আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
NADOSAYEDPUR JANAKALYAN HIGH SCHOOL - এর পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম ও শুভেচ্ছা। সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক চলনবীল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলাধীন মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের অন্তর্গত নাদোসৈয়দপুর গ্রামে ছায়া সুনিবির সবুজ শ্যামল ও মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয় টি অবস্থিত। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধ বিধ্বস্ত মাতৃভূমিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত, সমৃদ্ধ, সুশিক্ষত, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণায় এবং অত্রাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্টির মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার মানসে এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী, বুদ্ধিজীবি ও মহৎ ব্যাক্তির উদ্যোগ ও অক্লান্ত পরিশ্রমে ০১-০১-১৯৭৪ খ্রিঃ তারিখে এ বিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার প্রথম দশ বছর বিদ্যালয় টি নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ে পরিচালিত হয়েছিল। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৯৮৫ সালে নবম শ্রেণি এবং ১৯৮৬ সালে দশম শ্রেণি অনুমোদনের মাধ্যমে এটি পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা চালু রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল বহুতল একাডেমিক ভবনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্পন্ন গুনগত শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি সহ সকলে নিরলসভাবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাদের সুপ্ত প্রতিভার যথাযথ বিকাশ ঘটিয়ে শারীরিক, মানসিক, চারিত্রিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্ধুদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। মেধাবী শিক্ষকগণের উচ্ছল উদ্দীপনায় সুশিক্ষার এক অপূর্ব পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে করে তাদের প্রতিভা বিকাশের উপযুক্ত ক্ষেত্র খুঁজে পায়। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মীয় শিক্ষার অনুশাসন, মানবিক মূল্যবোধ ও কম্পিউটার শিক্ষা কর্মসূচীর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিজ্ঞান মনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত শিক্ষা লাভের পথ নির্দেশ করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। বাংলা ভাষার যথাযথ অনুশীলনের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়ে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষাগত দূর্বলতা নির্মূল করার দ্বার উন্মুক্ত করবে আশা করি। সাথে সাথে চিত্রাঙ্কন, সাহিত্য চর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মসূচী, খেলাধুলা, শিক্ষা সফর তাদের মেধা বিকাশে ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে।
আমরা আশা করি, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের যুগোপযোগী চাহিদা মেটাতে এবং তাদের সুশিক্ষা লাভের সকল সুযোগ সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হব ইন্শাল্লাহ।